গর্ভাবস্থার নয় মাস সময়কালে নারীর খাদ্য তালিকা ভবিষ্যৎ মায়ের স্বাস্থ্য এবং শিশুর বিকাশ- উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই সময়ে কিছু ফল এলোমেলো ভাবে খাওয়া একদমই ঠিক না। যদিও ফলগুলো একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের অংশ হতে পারে। গর্ভবতী নারীদের জন্য নয়, এমন কয়েকটি ফল নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা।
আনারস
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এই ফল না খাওয়া উচিত। এসময়ে আনারস খেলে জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে, যা গর্ভপাত ঘটায়।
আনারসে ব্রোমেলিনও থাকে। এটি একটি এনজাইম যা প্রোটিন প্রসেসিংকে উৎসাহ দেয়। যা জরায়ুর টিস্যুগুলোকে শিথিল করতে পারে। একারণে শিশু অকালে জন্ম নিতে পারে।
তেঁতুল
তেঁতুলে খুব বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা প্রজেস্টেরন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে গর্ভপাত, শিশুর অকাল জন্ম বা ভ্রূণের কোষগুলোর ক্ষতি হতে পারে।
পেঁপে
পেঁপে শরীরের জন্য ম্যাক্রোনাট্রিয়েন্টস এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিনের দুর্দান্ত উৎস। তবে গর্ভাবস্থায় পাকা এবং সবুজ পেঁপে এড়িয়ে চলা ভালো। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে লেটেক্স রয়েছে, যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত বা এমনকি গর্ভপাত ঘটাতে পারে। এছাড়া ভ্রূণের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কলা
এই তালিকায় কলা দেখে অনেকেই অবাক হবেন। তবে যেসব নারী অ্যালার্জি বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, গর্ভকালীন সময়ে তাদের কলা খাওয়া উচিত নয়।
তরমুজ
তরমুজ শরীরের জন্য উপকারী একটি ফল। এটি টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে এবং হাইড্রেশন স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এতে আপনার বাচ্চা তরমুজ থেকে তৈরি টক্সিনের সংস্পর্শে আসবে। ফলে তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় এটি এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
খেজুর
খেজুর ভিটামিন এবং খনিজের একটি দুর্দান্ত উৎস। তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য খেজুর সুপারিশ করা হয় না। কেননা খেজুর দেহে অতিরিক্ত তাপ বৃদ্ধি করে, যা জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে। অল্প পরিমাণে খেজুর খেতে পারেন, তবে বেশি খাওয়া হলে জটিলতার ঝুঁকি বাড়বে।
গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলো খাওয়া যায়
নাশপাতি, আপেল, আম, কমলা, অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। প্রতিদিন ২ থেকে ৪ টি সতেজ ফল খাওয়া ভালো।
ফলের রস পান করা যাবে?
ফলের রস পান করা যেতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় যেকোন খাবার খাওয়ার বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ভালো। যা মা ও শিশু দুজনেরই জন্যই মঙ্গল।
No comments:
Post a Comment