ত্বকের একটি অতি সাধারণ অবস্থা ব্রণ। প্রায় ৮৫% মানুষ জীবনের কোনও না কোন সময় এই সমস্যায় ভোগেন। প্রচলিত ব্রণর চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে এবং প্রায়শই শুষ্কতা এবং ত্বকের জ্বালার মতো অবাঞ্ছিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
তবে ব্রণের কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার আছে। আজকে আমরা সেই প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জানবো।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগারে থাকা জৈব অ্যাসিডগুলো ব্রণ জনিত ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তবে এটি ত্বকে লাগালে ত্বকে জ্বালাভাব হতে পারে, তাই এটি অবশ্যই খুব যত্ন সহকারে ব্যবহার করা উচিত।
জিঙ্কের পরিপূরক বা সাপ্লিমেন্টের ব্যবহার
ব্রণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিঙ্কের মাত্রা স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় অনেক কম থাকে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, জিঙ্কের ব্যবহার ব্রণকে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করতে পারে।
মধু এবং দারচিনির মাস্ক বা মিশ্রণ
মধু এবং দারুচিনিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে ব্রণযুক্ত ত্বকের জন্য এগুলো উপকারী হতে পারে।
চা গাছের তেল
চা গাছের তেলে শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি ত্বকে প্রয়োগ করলে ব্রণ কমে যায়।
গ্রিন টি
গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। ত্বকে গ্রিন টি ব্যবহার করে ব্রণকে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমানো যেতে পারে।
অ্যালোভেরা
যখন ত্বকে লাগানো হয়, তখন অ্যালোভেরার জেলগুলো ক্ষত নিরাময় এবং প্রদাহের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করে। ব্রণ সমস্যায় ভোগা মানুষদের জন্য অ্যালোভেরা উপকারী হতে পারে।
ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্ট
ফিশ অয়েলে ইপিএ এবং ডিএইচএ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ফিশ অয়েলের পরিপূরক গ্রহণের ফলে ব্রণ নিরাময় বা এর লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।
লো কার্ব ডায়েট
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার সেবুমের উৎপাদন বাড়ায়। কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন, একটি স্বল্প-কার্ব ডায়েট এই সমস্যা সমাধান করতে পারে।
দুগ্ধজাতীয় পণ্য কম ব্যবহার
কিছু গবেষণায় দুগ্ধ পান এবং ব্রণর মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। তাই ব্রণ যাদের আছে, তাদের দুধের তৈরি খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ ব্রণকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যায়। তাই, মানসিক চাপমুক্ত থাকলে ব্রণের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি সম্ভব।
শরীর চর্চা
নিয়মিত শরীর চর্চা রক্ত সঞ্চালন উন্নতি করে, হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
No comments:
Post a Comment